বর্তমান বিশ্ব একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরিত হয়েছে, যেখানে প্রতিদিনের কাজ, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, এমনকি সামাজিক যোগাযোগেও কম্পিউটারের ব্যবহার অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। আধুনিক বিশ্বায়নের এই যুগে কম্পিউটার জানা মানে শুধু একটি প্রযুক্তি জানাই নয়, বরং এটি হচ্ছে একটি “সারভাইভাল স্কিল”।
🔍 ১. তথ্য ও যোগাযোগের গতিতে বিপ্লব:
কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে আজ আমরা মুহূর্তেই পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের তথ্য পেয়ে যাচ্ছি। তথ্য খোঁজা, শেয়ার করা এবং বিশ্লেষণ করা—সবই সহজ হয়েছে কম্পিউটারের মাধ্যমে।
🧑💻 ২. চাকরি ও ক্যারিয়ারে বিশাল সুযোগ:
এমএস অফিস, ইমেইল ব্যবস্থাপনা, ডাটা এন্ট্রি, ইন্টারনেট ব্রাউজিং—এই স্কিলগুলো যে কোনো অফিস বা প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে মৌলিক যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হয়। একজন দক্ষ কম্পিউটার ব্যবহারকারী অফিস সহকারী থেকে শুরু করে ফ্রিল্যান্সিং, বিজনেস অ্যাসিস্ট্যান্ট, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টসহ বিভিন্ন পেশায় সহজেই প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন।
🌐 ৩. বিশ্বায়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা:
যেহেতু পুরো বিশ্ব এখন ডিজিটাল, তাই কম্পিউটার না জানলে আপনি পিছিয়ে পড়বেন। অনলাইন ব্যাংকিং, টেলিমেডিসিন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ই-কমার্স—সবকিছুই এখন কম্পিউটার নির্ভর।
💡 ৪. ব্যক্তিগত দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস:
কম্পিউটার শেখার ফলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে, নিজে নিজে অনেক কিছু করতে পারার ক্ষমতা তৈরি হয়। যেমন: নিজের সিভি তৈরি করা, প্রেজেন্টেশন বানানো, তথ্য খোঁজা ইত্যাদি।
📈 ৫. ফ্রিল্যান্সিং ও উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ:
যারা চাকরি করতে চান না, তারা কম্পিউটার ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন (যেমন: কনটেন্ট রাইটিং, ডিজাইনিং, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট), অথবা নিজস্ব অনলাইন বিজনেস গড়ে তুলতে পারেন।